স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: বিনিয়োগ সম্মেলনে পরীক্ষামূলক উদ্বোধন
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবা স্টারলিংক, যেটির পেছনে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এর তৃতীয় দিনে, ৯ এপ্রিল, এই সেবার আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন শুরু হয়।
🌐 স্টারলিংকের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত
সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের জন্য দুই দিনব্যাপী ফ্রি ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে স্টারলিংক, যা সাধারণ মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত হলো। মূলত এই প্রদর্শনীর আয়োজক বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।
📅 সময়সূচি:
-
শুরু: ৯ এপ্রিল ২০২৫
-
সমাপ্তি: ১০ এপ্রিল ২০২৫
📡 প্রযুক্তিগত দিক ও ব্যবস্থাপনা
বিএসসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম জানান, সম্মেলন স্থলে চারটি স্টারলিংক টার্মিনালের মাধ্যমে পাঁচটি ওয়াই–ফাই হটস্পট চালু রাখা হয়েছে। প্রতিটি রাউটারে একসাথে ৭০–১০০ জন ব্যবহারকারী সংযুক্ত হতে পারছেন।
📑 লাইসেন্স ও অনুমোদনের অগ্রগতি
-
২৯ মার্চ ২০২৫: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে প্রাথমিক বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়
-
৯০ কার্যদিবস সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কার্যক্রম শুরুর জন্য
-
বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালু করতে হলে স্টারলিংককে বিটিআরসি–র কাছ থেকে NGSO (Non-Geostationary Satellite Orbit) লাইসেন্স নিতে হবে
-
এই লাইসেন্সের জন্য চলতি সপ্তাহেই আবেদন করেছে স্টারলিংক
👥 মানুষের ব্যাপক আগ্রহ
সম্মেলনের মূল প্রবেশপথে স্থাপিত স্টারলিংকের বুথে দুপুর থেকেই দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। আগ্রহী মানুষজন সারি বেঁধে স্টারলিংক ইন্টারনেট–সেবার স্বাদ নিচ্ছেন।
🛰️ ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এখনও বাংলাদেশে স্টারলিংকের পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়নি, তবে বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রদর্শিত সেবাটি আশার আলো দেখিয়েছে। এটি দেশের দুর্গম ও ইন্টারনেট-বঞ্চিত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিটিআরসি যদি দ্রুত প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রদান করে, তবে আগামী দিনে বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটির এক নতুন যুগ শুরু হতে পারে স্টারলিংকের মাধ্যমে।
বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক ইন্টারনেট প্রদর্শনী নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, এবং উদ্ভাবনের সংমিশ্রণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও সংযুক্ত এবং সক্ষম হবে—এমনই প্রত্যাশা দেশবাসীর।