সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনায় নতুন কমিটি গঠন

Application of quota system in government jobs

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতির প্রয়োগ পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (বিধি অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পর্যালোচনায় কমিটি আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কমিটির ঘোষণা দেয়। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। এছাড়া, জনপ্রশাসন উপসচিব (বিধি-১ শাখা) এই কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কোটা পর্যালোচনার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত গত জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি এবং ভর্তিতে কোটা প্রয়োগের বিষয়টি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা পরবর্তীতে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২4 সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হয়। তবে তার আগেই, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সরকার ঘোষণা দেয় যে, সরকারি চাকরিতে ৯৩% নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ৭% কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

বর্তমান কোটা পদ্ধতি ও পরিবর্তনের সম্ভাবনা সরকারি চাকরিতে কোটার আওতায় বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১% এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১% কোটা সংরক্ষিত আছে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে, ওই শূন্য পদ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হয়।

কমিটির দায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ করণীয় নতুন গঠিত কমিটি সরকারি চাকরিতে কোটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ৫%, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ১%, এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১% কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবে কমিটি।

সরকারি চাকরির কোটার ভবিষ্যৎ কাঠামো নির্ধারণে এই পর্যালোচনার সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url