'আদিবাসী যুব সম্মেলন ২০২৫’-এ জাতীয় সংহতি ও পরিবেশ সুরক্ষার আহ্বান

 

Indigenous Youth Conference 2025
ছবিঃ সংগৃহিত।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। এই বৈচিত্র জাতীয় সংহতির জন্য ক্ষতিকর নয়; বরং সহায়ক। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে জাতীয় সংহতি আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় অর্জনে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি ও ভাষা নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। তিনি বলেন, নৃতাত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক বা ধর্মীয় পরিচয় যেন বৈষম্য ও বঞ্চনার কারণ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আদিবাসী যুবকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করে নিজ নিজ সমাজের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি, পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী এবং নিজ নিজ আবাসভূমি রক্ষায় তাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। দেশের সব জনগোষ্ঠীর জন্য সাম্য ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার লক্ষীপুর মিশনের সেন্ট ইউগেন্স হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফরমেশন সেন্টারে কাপেং ফাউন্ডেশন, আইপিডিএস এবং কুবরাজ আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘আদিবাসী যুব সম্মেলন ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইফাদ ও ফিলিপাইনের তেবতেব্বার সহায়তায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের এক্টিং চেয়ারপার্সন গৌরাঙ্গ পাত্র, আর সঞ্চালনায় ছিলেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিরন মিত্র চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক ফাদার যোসেফ গোমেজ, আদিবাসী ও পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ, কুবরাজ আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, আইপিডিএসের সমন্বয়কারী রিপন চন্দ্র বানাই এবং মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট আবুল হাসান।

সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ৫০ জন আদিবাসী যুবক অংশ নিয়েছেন। দু’দিনব্যাপী এই আয়োজনে বেশ কয়েকটি টেকনিক্যাল সেশন ও কর্মশালা থাকবে, যা পরিচালনা করবেন দেশের বিশিষ্ট গবেষক ও আদিবাসী বিশেষজ্ঞগণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url